রাজধানীর জুরাইনে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে বাবা মহর আলী (৬০) খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ছেলে মো. সুমন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ।
জানা গেছে, নিহত মহর আলী জুরাইনে একটি মোজা তৈরির কারখানার মালিক। তাঁর গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তার বাবা মৃত আলী আকবর।
ওই কারখানার কর্মচারি ইব্রাহিম জানান, দুই বছর ভারতের একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি দেশে আনা হয় সুমনকে। কিন্তু চিকিৎসার পরও তার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে সম্প্রতি বাসা থেকে হাত খরচের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ বিকালে মাদক সেবনের জন্য মহর আলীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চায় সুমন।
এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মহর আলীকে সবার সামনেই গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় সুমন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল (শুক্রবার) পাক পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, “পাকিস্তান দীর্ঘদিন থেকে বলে আসছে যে, ভারতের দ্রুত বেড়ে চলা পরমাণু অস্ত্র আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে।”
পাকিস্তান তার ভাষায় বলেছে, ভারতের বেড়ে চলা পরমাণু অস্ত্র আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। সীমান্ত সংঘর্ষ ও কাশ্মির ইস্যুতে যখন দু দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে তখন ভারতের পরমাণু অস্ত্র ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল পাকিস্তান।


পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, সাম্প্রতিক এক গবেষণা তথ্য থেকে জানা গেছে যে, ভারতের কাছে যে উপাদান রয়েছে তা দিয়ে ৩৫৬ থেকে ৪৯২টি পরমাণু বোমা তৈরি করা সম্ভব। ভারতের কাছে পরমাণু অস্ত্র ও বোমা তৈরির যে উপাদান মজুদ রয়েছে বলে আগে অনেকে ধারণা করতেন এ পরিমাণ তার চেয়ে অনেক বেশি। ভারতের এই পারমাণবিক সম্ভাবনার বিষয়ে পাক মুখপাত্র নিজেও একমত প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। দুদেশের মধ্যে ঠান্ডাযুদ্ধ চলছেই। আর সেই পরিস্থিতিতেই রাশিয়া বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের পরমাণু অস্ত্রসম্ভার পরীক্ষা-নিরীক্ষার বহর। উন্নত করা হয়েছে বম্ব শেল্টার। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে গ্যাস মাস্ক। এমনকী যুদ্ধ বাঁধলে সাধারণ নাগরিকরা কী করে নিজেদের বাঁচাবেন, শেখানো হচ্ছে সে পদ্ধতিও। রাসায়নিক যুদ্ধের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না মস্কো।
এই পদক্ষেপ কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত? পরমাণু যুদ্ধের মহড়ায় ব্যস্ত দেশ। ৪ কোটি রুশ নাকি সেই মহড়ায় অংশ নিয়েছে! সেইসঙ্গে সুপার পরমাণু অস্ত্র RS-২৮ সরম্যাটকেও এবার সামনে এনেছে মস্কো। আর এসবেই ঘনিয়ে আসছে আশঙ্কা। তবে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন?

সেইসঙ্গে মস্কো এবার সামনে নিয়ে তাদের অস্ত্র সম্ভারের নতুন সংযোজন RS-২৮। ২০১৮ সালে এটি রুশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি হওয়ার কথা। 
The Daily Top Stories : "শীর্ষ খবর প্রতিদিন " : ৬১ ভারতীয়র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে কলসেন্টারে ৩০ কো...:         ভারতীয় কলসেন্টারের কর্মীরা  কর বিভাগের ভুয়া কর্মকর্তা সেজে মার্কিন নাগরিকদের কাছ থেকে ৩০ কোটি ডলারেরও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে। এ...

       ভারতীয় কলসেন্টারের কর্মীরা কর বিভাগের ভুয়া কর্মকর্তা সেজে মার্কিন নাগরিকদের কাছ থেকে ৩০ কোটি ডলারেরও বেশি হাতিয়ে নিয়েছে।
এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, জালিয়াত চক্রের ৬১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ৬১ জন ভারতীয়'র বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ, যাদের ৩২ জন ভারতের এবং ২০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। একই সঙ্গে ভারতীয় এসব ভুয়া কলসেন্টার বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে আটকদের ভারতে ফেরত পাঠানো হবে। এখন পর্যন্ত জালিয়াতিতে জড়িত ভারতের আহমেদাবাদভিত্তিক ৫টি কলসেন্টারের সন্ধান পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, মুম্বাই পুলিশ সম্প্রতি এ জালিয়াত চক্রের ৭৭২ জনকে আটক করেছে। এদের মধ্যে ৭০ জনকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইনল্যান্ড রেভিনিউ সার্ভিসের (কর) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভারতের বিভিন্ন কলসেন্টার থেকে এ জালিয়াত চক্রের সদস্যরা মার্কিন নাগরিকদের ফোন করতেন।
তারা কথাবার্তার এক পর্যায়ে মার্কিন নাগরিকদের কর অনাদায়ী বলে ভয় দেখাতো। এরপর তাদের ব্যাংক একাউন্টের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতো। তারপর সেই একাউন্ট থেকে অর্থ সরিয়ে নিতো।
মুম্বাই পুলিশের কর্মকর্তা সুখাদা নারকার জানান, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই জালিয়াতি চলছিল। তিনি বলেন, প্রতিদিন এই জালিয়াত চক্র অন্তত এক কোটি রুপি (দেড় লাখ মার্কিন ডলার) সূত্রঃ নেট। 
https://onlinestories24.blogspot.comThe Daily Top Stories : "শীর্ষ খবর প্রতিদিন " : ইরান, সিরিয়া ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বপ...: ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল ও সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে যখন উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সামরিক অভিযান চল...

ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল ও সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে যখন উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সামরিক অভিযান চলছে তখন ত্রিপক্ষীয় এ বৈঠক হতে যাচ্ছে। মসুলে মার্কিন ও তুরস্কের সেনাদের অংশ গ্রহণ নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। অন্যদিকে, আলেপ্পো অভিযানের ভেতরে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে তুরস্ক। ধারণা করা হচ্ছে- মস্কো বৈঠকে এসেই আলোচনায় আসবে। পাশাপাশি মসুল ও আলেপ্পো মুক্ত হলে দায়েশ-বিরোধী লড়াইয়ের গতি-প্রকৃতি কী হবে তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ের কৌশল ঠিক করতে আজ (শুক্রবার) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় বৈঠকে বসছেন ইরান, সিরিয়া ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য সকালে মস্কোর উদ্দেশ্যে তেহরান ছেড়েছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ।
তার সঙ্গে রয়েছে একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠকে তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লেমের সঙ্গে প্রধানত সিরিয়া ও ইরাকে সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনা করবেন। আঞ্চলিক ঘটনাবলীর পাশাপাশি জারিফ দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়েও আলোচনা করবেন বলে কথা রয়েছে।

ফেসবুকে হাজারো মানুষ জানিয়েছেন একইরকমের আহব্বান

৫ বছরের পূজা দাশ’কে ধর্ষন করার সময় ধর্ষক
সাইফুল ইসলাম ব্লেড দিয়ে তার যৌনাঙ্গ কেটে ধর্ষন করছে…….
বাংলাদেশ মহামান্য বিচারপতির কাছে একটাই অনুরোধ,,,,,
ধর্ষক সাইফুল ইসলাম’এর পুরষাঙ্গ কর্তন করে
বাঁচিয়ে রেখে শাস্তি দেওয়া হোক…..
এটাই হবে পুজার প্রতি ন্যায় বিচার……
এবং প্রতিটা ধর্ষন মামলাতে ধর্ষককে এই
শাস্তীটাই দেওয়া হোক…..
ধর্ষক সাইফুল ও তার সহযোগীর যৌনাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে লবন লাগিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে এতো জঙ্গিদের তো ক্রসফায়ার দেন প্রধানমন্ত্রী, ওইসব জঙ্গিদের থেকেও নরপশু এই সাইফুলরা। এদের কেন ক্রসফায়ার দেন না
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের অবুঝ এক শিশু, নাম পূজা। বয়স সবে মাত্র পাঁচ বছর। পুতুল খেলার বয়স। এই বয়সে দিনে একাধিক বার পুতুলকে কাপড় পড়িয়ে অন্য এক পুতুলের সাথে বিয়ে দিবে আর কনের সাথে আসা অতিথি আপ্যায়ন করাবে মাটি দিয়ে ভাত বানিয়ে এটাই স্বাভাবিক। এই শিশুটিও ভিন্ন নয়, অন্য আর দশটা শিশুটির মতোই। তাই সেদিন বাড়ির পাশে পুতুল নিয়ে খেলতেও গিয়েছিল। কে জানত আজ ঘটবে বিপর্যয়? খেলতে গিয়েই মানুষ নামের অমানুষের হাতে শিশুটিকে হতে হবে ধর্ষিত।
গত ১৮ অক্টোবর উপজেলার জমিরহাট এলাকার তকেয়াপাড়া গ্রামে সকাল ১১ টার দিকে বাড়ির পাশে পুতুল খেলতে গিয়েই মুহূর্তের মধ্যেই হয়ে গেল নিখোঁজ। শিশুটিকে খুঁজতে শুধু পরিবারই নয় পুরো গ্রামের মানুষই ছিল এককাতারে। না, তবুও কোথায় পাওয়া যাচ্ছে না, পশ্চিম আকাশে চলে গেছে সূর্য, বাবা-মা বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন।
অবশেষে মাইকিং, মসজিদে ঘোষণা দেওয়াসহ নানাভাবে শিশুটির খোঁজ করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটিকে সে দিন না পেয়ে সেদিনই রাত ১১টার দিকে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। পরদিন ভোর ৬টায় শিশুটিকে বাড়ির পাশের একটি হলুদক্ষেত থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরই তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণের শিকার হয়েছে শিশুটি।
রুখসানা কাজল লিখেছেন,
আমি এমনিতে খুব নতজানু মানুষ। নিজেকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখেছি আমার ভেতরে ঢ্যাঁড়স স্বভাবের আদিখ্যাতা প্রকট প্রবল। ঘৃণা করলেই ফুরিয়ে যায় ঘৃণার পাগাঢ় ! আমি ভালবাসায় বাঁচি, ভালবাসায় মরি।
পাঁচ বছরের মেয়েটার জন্যে মায়া হচ্ছে। হারিয়ে গেছে তনু,মিতা আরো অনেকেই। আমি প্রবল কঠিন কঠোর ভাষায় বলতে চাইনা শাসক আপনি গদি ছাড়ুন। শাসক তো বলেনি , ধর্ষণ কর, খুন কর, লুটিয়ে দাও, লোপাট কর।
ধর্ষকের বিচার হোক, খুনিরা শাস্তি পাক এই দাবীতে আমিও অনড়।
কিন্তু আমার খুব ইচ্ছে করে ধর্ষক স্বামি, পুত্র, ভাই , পিতার পরিবারগুলোকে দেখতে । ধর্ষকের মা তার ছেলেকে খেতে দিয়ে কি বলে, খা বাবা খেয়ে খেয়ে আরো সুদৃঢ় করে তোল তোর পুরুষদন্ড। ধর্ষকের স্ত্রী কতখানি গলে গিয়ে বলে, ওগো বিছানায় আমার জন্যেও কিছুটা ভাগ রেখো। ধর্ষকের ভাই বোন কি বলে এটা কততম রে ভাইয়া ! কিম্বা ধর্ষক পিতার সন্তানরা কি বলে, বাবা এই দেখো রেজাল্ট আমিও তোমার মত মানুষ হচ্ছি !
একজন ধর্ষক খুনির চেয়ে এই পরিবারগুলো কতটা ভালো ? কেবল এরাই জানে এই ধর্ষক, খুনিদের। এরাই ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখেছে । এদের প্রশ্রয়েই আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে পালিয়ে যাচ্ছে এই শয়তানরা। আমার ঘৃণা ধর্ষক খুনিদের সাথে পরিবারের এই সদস্যদের উপরেও।
শাহরিয়ার পিউ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,
যদি একটা দৃষ্টান্ত আমরা দেখাতে পারতাম কোন ধর্ষকের বাবা-মা পরিজন তাকে জনসম্মুখে পাথর ছুড়ে অর্ধমৃত অবস্থায় ফাঁসিতে ঝোলাচ্ছে তবে অন্তত অনেকজন র্ধষিত হবার আগে ধর্ষকের হাত থেকে বেঁচে যেতো … আর যদি এমন দৃষ্টান্ত ১০০জনের হয়? হোলি আটিসনের জঙ্গিদের বাবা-মারা তাদের সন্তানের লাশ বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ফেলে রাখতে পারলে ধর্ষকদের বাবা মায়েরাও পারবে! পারতেই হবে!
আসিফ এন্তাজ রবি লিখেছেন,
মেয়েটি তাকে ”বড় বাবা” বলে ডাকতো। এই ”বড় বাবা”-ই মেয়েটিকে ধর্ষণ এবং এইভাবে নির্মম নির্যাতন করেছে। ধর্ষক সাইফুলগ্রেপ্তার হয়েছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কিন্তু আমার একটি প্রস্তাব আছে। সাইফুলকে কেবল আইনের হাতে ছেড়ে দিলে চলবে না। সাইফুল একা নয়, সাইফুলের যে সমাজ, সেই পুরো সমাজের বিচার আমি দাবী করছে। সাইফুলের শিক্ষক কে ছিলেন, তিনি তার ছাত্রকে কি শিক্ষা দিয়েছেন যে সাইফুল এমন হলো? সাইফুলের শিক্ষককে সেই প্রশ্ন করতে হবে। সাইফুলের মা তার সন্তানকে কীভাবে মানুষ করেছেন, ছোটবেলায় তিনি কি সাইফুলকে ঘুম পাড়ানি গান শোনাতেন, সাইফুলের মা-কেও সামনে আনা হোক। সাইফুলের যারা ঘনিষ্ট বন্ধু, তাদেরকে সবার আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। সাইফুল সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি কেমন, মেয়েদের সম্পর্কে সে কী আলোচনা করতো, এটা জানা খুব জরুরি। একইভাবে সাইফুলের স্ত্রী, তার বাবা, তার ঘনিষ্ট প্রতিবেশি সবাইকে ধরা হোক। সমাজবিজ্ঞানী, আইনবিদ, মনোবিদ, শিক্ষাবিদ সবাই এবার দয়া করে সাইফুলকে নিয়ে বসুন। সাইফুল কোনো একক ধর্ষকের নাম নয়, এটা একটা ভয়াবহ অসুখের নাম। যে অসুখে একজন মানুষ পাঁচ বছরের একটা বাচ্চাকে ধর্ষক, কামড় এবং সিগারেটের দাগ দিতে পারে। একজন সাইফুলকে আইনের আওতায় এনে একজন অসুস্থ মানুষের বিচার করা সম্ভব, কিন্তু রোগটা ধরা সম্ভব নয়। সমাজে যদি রোগটা থেকেই যায়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও সাইফুল জন্মাবে। আমরা তার লক্ষণ ইতিমধ্যে দেখতে পারছি। ধর্ষক এখন নিত্যদিনকার ঘটনা। কাজেই, আসুন সবাই দেশ থেকে ”সাইফুল রোগ” তাড়াই। অলরেডি অনেক দেরী হয়ে গেছে। সমাজ বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কার, গায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক- আসুন সবাই এক হই। পুরো ঘটনা বুঝতে চেষ্টা করি। এই দেশে এমন নৃশংস ঘটনা কেন বার বার ঘটছে। আমাদের সকলেরই ব্যর্থতা
আছে। কোথায় সেই ব্যর্থতা, কেন সমাজে সাইফুলরা জন্মাছে। বিতর্ক বাদ দিন, পরস্পরের হাত
ধরুন। বাংলাদেশকে বাঁচান। 
ইমতিয়াজ মাহমুদ, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, লিখেছেন ,
পার্বতীপুরের ঘটনা। ওর পিতা একজন গাড়িচালক। ধর্ষক সম্ভবত দুইজন। এদের একজন মো. সাইফুল ইসলাম পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। দুর্গা গুরুতর অসুস্থ। ওকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
একজন বন্ধু খবরটা জানিয়েছেন সোমবার সকালে। তারপর আরেকজন। একজন বলেছেন ‘এই ঘটনা নিয়ে একটা কিছু বলেন ভাই।’ একজন জানিয়েছেন দুর্গার পিতার আর্থিক সামর্থ্য নাই যে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করাবে। আমি কি কোন সাহায্যের ব্যবস্থা করতে পারি?
কাজের মধ্যে ছিলাম, বিস্তারিত ঘটনা জানতে জানতে একটু সময়ে লেগেছে। পুরো ঘটনা জানার পর স্তব্ধ হয়ে গেছি। কি করবেন আপনি? এটা নিয়ে কি ফেসবুকে জ্বালাময়ী পোস্ট লিখতে হবে? কিভাবে লিখবেন? সাহায্য করবেন? না ঠিক আছে, কিছু টাকা পয়সা আপনি জোগাড় করতে পারবেন। কত টাকা জোগাড় করবেন? এক লাখ? দুই লাখ? তেত্রিশ লাখ? বা ধরলাম তেত্রিশ কোটি টাকাই আপনি জোগাড় করলেন আপনি দুর্গাকে সাহায্য করতে। সেটা দিয়ে এই শিশুটির ক্ষতিপূরণ হবে? যে ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে শিশুটি সেটি মুছে ফেলতে পারবেন? হাজার কোটি দিয়ে পারবেন?
পাঁচ বছরের একটা শিশু! ভাবেন তো? আপনার ডানে বাঁয়ে তাকান। ঘরের ভিতর তাকান। ঘরের বাইরে তাকান। আপনার আশেপাশের একটা চার পাঁচ বা ছয় বছরের নারী শিশুর দিকে তাকান। কল্পনা করেন তো! কল্পনা করেন দুইটা চল্লিশ বিয়াল্লিশ বছরের শক্ত পুরুষ ওকে আটকে রেখেছে একটা ঘরে; কল্পনা করেন!
>>
একটা শয়তানকে পুলিশ ধরেছে। ওর নাম মো. সাইফুল ইসলাম। আরেকটাকে পুলিশ এখনো ধরতে পারেনি। ঐটার নাম কি কবিরাজ যেন। আপনি কী করবেন একটা সাইফুলকে ধরে বা একটা কবিরাজকে ধরে। কী করবেন এইরকম একটা দুইটা বা দুইশটা পুরুষকে ফাঁসি দিয়ে? ওরা কাজটা কী করেছে সেটা একবার কল্পনা করেন আর ভাবেন এদেরকে কী শাস্তি দিতে চান। আপনার কল্পনার সবচেয়ে ভয়াবহ শাস্তিটি দিলেও কি মনে করেন দুর্গার প্রতি যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার হয়ে গেল? ভাবেন তো; ভেবে বলেন!
ভেবে বলেন এইরকম দুইটা বা দুইশ শয়তানকে ফাঁসিতে ঝুলালে এই অত্যাচারের বিচার হবে? আমি কন্যা সন্তানের পিতা, আমি একজন সুস্থ স্বাভাবিক দায়িত্বশীল নাগরিক। আমি ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে বলছি। এই দুই শয়তানকে কুচিকুচি করে কেটে যদি কুকুরকে দিয়ে খাওয়ান, তবুও তো দুর্গার এক ফোঁটা চোখের জলের বিচার হবে না। ভাববেন না আমি আবেগের বশে বলছি। চব্বিশ ঘণ্টার চেয়ে বেশী সময় আমি ভেবেছি। আমার কল্পনার যন্ত্রণাক্লিষ্ট একটি শিশুর মুখ ভেসে আসছে এখনো। কল্পনায় কী সব আসে বুঝতে পারেন। এই অত্যাচারের কী শাস্তি হতে পারে? কী শাস্তি দিবেন?
শাস্তি তো আপনি কেবল ঐ সাইফুলকে সাজা দেওয়ার জন্যে দিবেন না। শাস্তি দেওয়ার একাধিক উদ্দেশ্য থাকে। একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ শাস্তির ভয়ে অন্যরাও যাতে অপরাধ থেকে বিরত থাকে। আপনার কি মনে হয় আপনি যদি ভয়ঙ্করতম শাস্তিটিও দেন ঐ মো. সাইফুল ইসলামকে তাইলেই এইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না?
লক্ষ্য করে দেখেন, দুর্গা নামের শিশুটি কে? সে একজন নারী শিশু, সে একটি হিন্দু নারী শিশু, সে একটি দরিদ্র ঘরের নারী শিশু এবং সে একটি হিন্দু দরিদ্র ঘরের নারী শিশু। বাংলাদেশে ভালনারেবল হওয়ার যতরকম বৈশিষ্ট্য প্রয়োজন সবই তার আছে। আপনি যতদিন নিশ্চিত করতে না পারবেন যে এইসব বৈশিষ্ট্যের কোনটাই একজন মানুষের অস্তিত্বের জন্যে বা মর্যাদার জন্যে বিপদজনক হবে না ততদিন পর্যন্ত এইরকম অত্যাচার চলতে থাকবে।
>>
আমরা তো আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে শিশুর বিশেষ অধিকার শিখাই না। আমরা তো আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে নারীকে মানুষ বিবেচনা করা শিখাই না। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সংখ্যালঘুদেরকে সমান মর্যাদা দিতে শিখাই না। পিতামাতার বৈষয়িক অবস্থার কারণে শিশুদের অধিকার ও সুযোগের বৈষম্য করাকে আমরা স্বাভাবিক বলে শিখাই। এইসব যতদিন চলতে থাকবে এইরকম ঘটনাও ঘটতে থাকবে। থামবে না।
আপনি আপনার চারপাশে খুঁজলে এমন লোক পাবেন যে মনে করে যে ধর্ষণের জন্যে নারীরাই দায়ী। আমি এমন লোক দেখেছি যে বলেছে যে, ‘না, পাঁচ বছরের শিশুকে করা ঠিক হয়নাই, তবে হিন্দু মেয়েকে…’ ইত্যাদি। আপনি চেনেন না এরকম কাউকে? খুঁজলেই পাবেন; আপনার আশেপাশেই পাবেন।
কিন্তু এইসব কথা আর বলতে ইচ্ছা করে না। আপনারা সকলেই বুদ্ধিমান মানুষ। মানুষ এতো কিছু জানে। আওয়ামী লীগ বুঝে, বিএনপি বুঝে। বামরা কেন যুগের পর যুগ ব্যর্থ রাজনীতি করছে তার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করে দেওয়া লোক হাটে-মাঠে-ঘাটে গিজগিজ করে। নারী আর পুরুষ যে সমান, নারীও যে মানুষ এই কথাটা বুঝতে আপনাদের এতো জটিল লাগে কেন? কেন মানুষকে এইসব বাগাড়ম্বর করে বুঝাতে হবে যে নারীর সম্মতি ছাড়া নারীকে স্পর্শ করা অন্যায়। না মানে যে না, এই কথাটা কি এতোই জটিল?
না। আমি জানি কেন লোকেরা এইটা বুঝতে পারেনা যে নারীর সম্মতি প্রয়োজন। আমি জানি কেন আপনারা বুঝতে পারেন না যে না মানে না। কেন আপনারা নারীকে সম্পূর্ণ মানুষ বিবেচনা করেন না। কারণ আপনি যে বিশ্বাসকে নৈতিকতার ভিত্তি মনে করেন, সেই বিশ্বাস আপনাকে শিখায় না যে নারীও মানুষ। ঐসব শিক্ষা যদি ডি-লার্ন করতে না পারেন, তাইলে হবে না।
>>
এই আমার মাথায় বার বার হানা দিচ্ছে দৃশ্যটা- একটা ফুটফুটে ফুলের মত শিশু হলুদ খেতের মাঝখানে পড়ে আছে মৃতপ্রায়- এ যেন আমার কন্যা কি আপনার কন্যা পড়ে আছে সেইখানে ব্রুট্যালি ভায়োলেটেড- এটা হচ্ছে পুরুষবাদী ধর্মাক্রান্ত শোষণমূলক সমাজের প্রচ্ছদ। এইটা একটা সত্য দৃশ্য, বাস্তব দৃশ্য। এইটা আমার কল্পনা না দুঃস্বপ্ন না। এটাই আমার সমাজ; আমার রাষ্ট্র।

>> অঞ্জন লিখেছেন ,
শিশু পূজার ধর্ষক সাইফুল ইসলাম ওরফে কালা সাইফুইল্যা ৭ দিনের রিমান্ডে। It’s not enough to take him 7days remand. We strongly demand his death sentence so that in future any one can not think to commit such as crime in Bangladesh against kids and women. Hundred Thousands of Saiful Islam are doing such as crimes in our present society.To reduce the percentage of serious crime our honorable Lower and High Court should be taking a Historical step about their Judgment.
>>পার্বতীপুরে শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে দিনাজপুর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষক সাইফুলকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়ে ওঠে। ফেসবুকে সাইফুলের ছবি প্রকাশ করে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ফেসবুকে ছবি প্রকাশের পরই মুলত এই ধর্ষকের আত্মগোপনে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে ।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় চলছে হাজারো ক্ষোভ । মুলত ফেসবুকের কল্যানেই অনেকটা ভাইরাল হয়ে পড়ে অসহায় শিশুটির উপর পাশবিক নির্যাতনের ভয়াবহ বিষয়টি। খুব দ্রুতই ধর্ষক ধরাও পড়েছে পুলিশের আন্তরিকতায়। তবে এখন সবার একটাই দাবী এই ভয়ানক পিশাচ যেন কোনভাবেই আইনের ফাঁক- ফোকর গলিয়ে না বাচতে পারে। অদুর ভবিষ্যতে এমন ঘটনা  ঘটাতে যেন অন্য কেও সাহস না  পায় সেজন্য খুব দ্রুত আইনের মাধ্যমেই ব্যতিক্রমি দৃস্টান্তের কোন বিচার আশা করছেন সকলেই।
নাহ ভয়াবহ শাস্তি বলতে ‘মৃত্যুদন্ড” চাচ্ছেননা সচেতন মহল। তারা চাইছেন ভয়াবহ কোন শাস্তি! যা শুনেই আতকে উঠবে যে কেওই ।https://withnews24.blogspot.com/http://dcrimes.blogspot.com/https://onlinestories24.blogspot.com/https://new24story.blogspot.com/

নয় সদস‌্যের মেডিকেল বোর্ড করে শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ উল হক কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটিকে বোর্ড দেখেছে।
“শিশুটির প্রজনন অঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত। সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। যদি সংক্রমণ রক্তে ছড়ায়, তাহলে বিষয়টি ভয়াবহ হবে।”
শিশুটির পুষ্টির অভাব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “শিশুটিকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তার প্রজনন অঙ্গে অস্ত্রোপ্রচার করতে দেড় থেকে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে।”
গত ১৮ অক্টোবর পার্বতীপুর উপজেলার সিঙ্গীমারী জমিরহাট গ্রামের ওই শিশু বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতে তার বাবা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। 
গত ২০ অক্টোবর রাতে শিশুটির বাবা একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মামলার প্রধান আসামি সাইফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অপর আসামি পলাতক।
বুধবার গাইনি বিভাগের প্রধান ফেরদৌসি ইসলামের নেতৃত্বে এই বোর্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বোর্ডের সদস্যরা হলেন- আশরাফ উল হক কাজল, আমানুর রসুল, জিল্লুর রহমান, সাদিয়া আনোয়ার, মো. আবুল কালাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মোজাম্মেল হোসেন। সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন বিলকিস বেগম।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের দুই সহকারী শিশুটিকে দেখতে যান।
শাকিল শিশুটির চিকিৎসার ভার সরকার নিয়েছে বলে জানান। সূত্র-নেট

নয় সদস‌্যের মেডিকেল বোর্ড করে শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ উল হক কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটিকে বোর্ড দেখেছে।
“শিশুটির প্রজনন অঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত। সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। যদি সংক্রমণ রক্তে ছড়ায়, তাহলে বিষয়টি ভয়াবহ হবে।”
শিশুটির পুষ্টির অভাব রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “শিশুটিকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তার প্রজনন অঙ্গে অস্ত্রোপ্রচার করতে দেড় থেকে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে।”
গত ১৮ অক্টোবর পার্বতীপুর উপজেলার সিঙ্গীমারী জমিরহাট গ্রামের ওই শিশু বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতে তার বাবা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। 
গত ২০ অক্টোবর রাতে শিশুটির বাবা একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মামলার প্রধান আসামি সাইফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অপর আসামি পলাতক।
বুধবার গাইনি বিভাগের প্রধান ফেরদৌসি ইসলামের নেতৃত্বে এই বোর্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বোর্ডের সদস্যরা হলেন- আশরাফ উল হক কাজল, আমানুর রসুল, জিল্লুর রহমান, সাদিয়া আনোয়ার, মো. আবুল কালাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মোজাম্মেল হোসেন। সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন বিলকিস বেগম।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের দুই সহকারী শিশুটিকে দেখতে যান।
শাকিল শিশুটির চিকিৎসার ভার সরকার নিয়েছে বলে জানান। সূত্র-নেট
Qatar's Emir Sheikh Hamad bin Khalifa al-Thani, has died. When he died at the age of 84 yearsar asthaniya Sunday (3 October), according to local media for his death. 197 since he was in power until 1995. Meanwhile, the death of his three-day mourning has been declared in the country
(Inna-ilahi oya inna ilahIr rajiun)

Qatar's Emir Sheikh Hamad bin Khalifa al-Thani, has died. When he died at the age of 84 bacharasthaniya Sunday (3 October), according to local media for his death.
197 since he was in power until 1995.
Meanwhile, the death of his three-day mourning has been declared in the country.
(কাতারের সাবেক আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।স্থানীয় সময় রোববার (২৩ অক্টোবর) তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
তিনি ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন।
এদিকে তার মৃত্যুতে দেশটিতে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।)
ইতালিতে মসজিদ বন্ধ করে দেয়া এবং অন্য কোথাও নামাজ পড়তে না দেয়ায় 'রোম কলিসিয়াম'র কাছে জুমার নামাজ আদায় করে প্রতিবাদ জানিয়েছে মুসলিমরা।


ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতার ওপর অবৈধ বিধিনিষেধের প্রতিবাদে শত শত মুসলিম এই প্রতিবাদী নামাজে অংশগ্রহণ করেন।



প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে পাঁচটি মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার পর গত শুক্রবার 'রোম কলিসিয়াম'র কাছে এই প্রতিবাদী জুমা আদায়ের ঘোষণা দেয় আয়োজক সংগঠন।



প্রাচীন ওই স্থাপনার কয়েক মিটার দূরে মুসল্লিরা মাদুর ও তেরপল বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন। ওই সময় তাদের অনেকের হাতে 'শান্তি' এবং 'মসজিদ খুলে দাও' লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।



অনেক ইতালীয় মুসলিমের সন্দেহ, ইউরোপে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সৃষ্ট অবিশ্বাসের আবহ থেকেই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এসব মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে।



বাংলাদেশী গ্রুপ 'ধূমকেতু' এই কর্মসূচির আয়োজন করে। আয়োজকদের অভিযোগ, ভবন আইন লংঘনের অভিযোগ তুলে কর্তৃপক্ষ রোমে মুসলমানদের প্রার্থনার স্থানগুলোকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।



বিভিন্ন ইসলামী গ্রুপের সমন্বয়ক ধর্মান্তরিত মুসলিম ফ্রান্সিসকো তিয়েরি বলেন, 'আমাদের দিকে যে অঙ্গুলি নির্দেশ করা হচ্ছে সেটা বুঝি। আমরা এখানকার এবং আমরা যে শান্তিপূর্ণ সম্প্রদায় তার স্বীকৃতি দেয়ার কোনো রাজনৈতিক ইচ্ছে (কর্তৃপক্ষের) নেই।'



তিনি বলেন, 'আমাদেরকে প্রার্থনার জায়গার জন্য অর্থ দিতে হয়। আর বিষয়টি (প্রার্থনা) আমাদের কাছে শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো যে, আমরা এটা করতে না পারলে আমরা মারা যাবো।'



এদিকে অভিবাসী বিরোধী নর্দান লিগ পার্টির নেতা বারবারা সল্টমার্টিনি জুমার প্রতিবাদী নামাজকে 'অপ্রত্যাশি উস্কানি' আখ্যা দিয়ে বলেন, রোমে এটা করতে দেয়া কখনোই উচিত হয়নি।



অন্যদিকে মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, কর্তৃপক্ষ চিন্তার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেবে, কিন্তু সেটা হবে আইনি কাঠামোর মধ্যেই।



ইতালিতে ইহুদি এবং মরমন ধর্মের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থাকলেও ইসলাম ধর্মের সেটা নেই। এজন্য আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা মুসলিমরা এখানে ধর্ম ও বর্ণের দিক দিয়ে বৈষম্যের স্বীকার।



It is easy to climb tall (Video) discover amazing !!!!সহজেই লম্বা গাছে উঠা যায় (ভিডিও) অসাধারন আবিষ্কার!!!! 

It is easy to climb tall (Video) discover amazing !!!!সহজেই লম্বা গাছে উঠা যায় (ভিডিও) অসাধারন আবিষ্কার!!!! 
পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যান্টোনি ম্যাসিরেভিজ জানিয়েছেন, রাশিয়ার কাছে মিসর ফ্রান্সন নির্মিত দুটি মিস্ট্রাল রণতরী প্রতীকী বিক্রি করছে। যার মূল্য এক ডলারে। বৃহস্পতিবার পোল্যান্ড পার্লামেন্টে তিনি এই দাবি করেছেন।
মূলত ফ্রান্স রাশিয়ার জন্যই রণতরী দুটি তৈরি করেছিল। কিন্তু  রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করার কারনে ফ্রান্স রাশিয়ার ১০০ কোটি ডলার ফিরিয়ে দিয়ে মিসরের কাছে এক ডলারে রণতরী দুটি বিক্রি করে।


হিজরার যে ড্যান্সটি সারা বিশ্ব কে তাক লাগিয়ে দিল The dance of transgender ভিডিও 

We are working world wide business. This product from china. This is very good and well working 24 hours!
If anybody need it, plz contact with us!
Thanks
গোপালগঞ্জ থেকে পাঁচদিন নৌকা দিয়ে সাজানো রিকশা চালিয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এসেছেন সত্তর পেরিয়ে একাত্তরে পড়া নৌকা পাগল নূরু মিয়া। আর তাতে নূরু মিয়ার খরচ হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার টাকা। নিজের সহায় সম্বলের জায়গাটুকু বিক্রি করে এই অর্থের যোগান দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এভাবেই দলের টানে শত বাধা জয় করে হাজির হয়েছেন আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলন।
শনিবার ( ২২ অক্টোবর) সকাল ৮টায় রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে দেখা মেলে বঙ্গবন্ধু পাগল এই নৌকা প্রেমিকের।
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলের কাছে বসবাস করেন নুরু মিয়া। তার পুরো শরীরে বাংলাদেশের পতাকা। মাথায় সবুজ কাপড় জড়িয়ে তিন চাকার রিক্সা চালিয়ে আস্তে আস্তে তিনি ধাবিত হচ্ছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে। সামনে যাকেই পাচ্ছেন তাকেই সালাম দিচ্ছেন আর বলছেন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’।
চলতে চলতে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আজো মনে পড়ে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ।’ যখন তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো। তবুও শত্রুর কাছে মাথা নত করো না। একেই তো বলে নেতা! তাইতো বঙ্গবন্ধুই আমার শ্রেষ্ঠ নেতা। আর এই নেতার পাগল হয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আসবো না তা কি হয়?
সম্মেলনে আসতে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সমস্যা তো হয়েছেই। তবু এখন শান্তি লাগছে সম্মেলনে আসতে পেরে। তবে বুকের ভেতর কোনো কষ্ট থাকবে না যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেখা পাই।

অবশেষে কি সমাধান হল বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেলের রহস্যের? বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেল নিয়ে তৈরি নানা মিথের সদুত্তর কি এ বার পাওয়া যাবে? এই সব প্রশ্নের নয়া সমাধান দিচ্ছেন এক দল বিজ্ঞানী। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম অংশের ত্রিকোণাকৃতি জায়াগায় বিভিন্ন সময় উধাও হয়ে গিয়েছে জাহাজ থেকে বিমান। ‘ডেভিলস ট্র্যাঙ্গল’ নিয়ে নিরন্তর গবেষণা করেও ‘কেন’র উত্তর পাওয়া যায়নি।

যদিও এই রহস্য নিয়ে চলেছে বিস্তর আলোচনা। নানা ব্যাখ্যা। পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি। সেই রকমই আরও একটি নতুন ব্যাখ্যা সংযোজন করলেন বিখ্যাত আবহবিদ র‌্যান্ডি কারভ্যানি-সহ বেশ কিছু বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেলের রহস্যের পিছনে রয়েছে এক রকম ষড়ভুজাকৃতি মেঘ (হেক্সাগোনাল ক্লাউড)।

 উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা দ্বীপে ২০ থেকে ৫৫ মাইল জুড়ে ষড়ভুজাকৃতি মেঘ তৈরি করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বায়ু। যার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ মাইল। এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বায়ুকে বলা হয় ‘এয়ার বম্ব’। এই বায়ু প্রায় ৪৫ ফুট উচ্চতার ঝড় তৈরি করতে পারে। যার ফলে বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেল দিয়ে যাওয়া জাহাজ বা প্লেন উধাও হয়ে যায়।
কিন্তু উধাও হয়ে কোথায় তার শেষ ঠিকানা হয় সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট নন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও জাহাজ বা বিমান এই এলাকা দিয়ে যায় না। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বার্মুডা ট্রায়্যাঙ্গেল সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য।

ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পাক সীমান্তে ৮০টিরও বেশি স্কুল  বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। শনিবার ওই এলাকার সব প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় হয়। খবর দৈনিক খাবরিন উর্দূ। 
 শুক্রবার গভীর রাতে হীরানগর এলাকায় পাক-ভারত সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। দিনের বেলাতেও হীরানগর, সাম্বা এবং আখনুরে গুলি চালানো হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের দাবি, শুক্রবারের গোলাগুলিতে এক সন্ত্রাসী এবং ৭ পাকিস্তানি রেঞ্জার নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের আইএসপিআর’এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম সালিম ৭ রেঞ্জার নিহত হওয়ার দাবি নাকচ করে দিয়ে তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত জম্মুতে যেসব গ্রাম পাক রেঞ্জারের ফায়ারিংয়ের আওতায় আসতে পারে সেসব গ্রামকে সতর্কতামূলকভাবে খালি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। বিএসএফকে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এবং প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অবশেষে বন্ধ হয়ে গেল দেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড। ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করা এ অপারেটরটি সিটিসেল নামেই বেশি পরিচিত। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৭৭ কোটি টাকা বকেয়া সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় অপারেটরটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
রাজধানীর মহাখালীতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে বিটিআরসির একটি প্রতিনিধিদল গিয়ে অপারেটরটির প্রধান সুইচ বা অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। পরে গতকাল সন্ধ্যায় বিটিআরসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘বিটিআরসির বকেয়া পরিশোধ না করায় টেলিযোগাযোগ আইনের ৫৫(৩) ধারা অনুযায়ী সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে সিটিসেলের ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই। পরবর্তী পদক্ষেপ হবে অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিল।’
সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির বকেয়ার পরিমাণ ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে টুজি লাইসেন্সের তরঙ্গ বরাদ্দ ও নবায়ন ফি বাবদ পাওনা ২২৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া রাজস্ব ভাগাভাগি বাবদ ২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বার্ষিক তরঙ্গ ফি ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, সামাজিক সুরক্ষা তহবিলের ৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স ফি ১০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ৩৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা ও বিলম্ব ফি বাবদ ১৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।
সিটিসেল গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নিতে এর আগে গত ৩১ জুলাই একটি গণবিজ্ঞপ্তি দেয় বিটিআরসি। এতে বিকল্প সেবা নিতে গ্রাহকদের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এই সময়সীমা পরে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আর লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে গত ১৭ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটিকে চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিটিআরসি।
তবে বিটিআরসির লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২২ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করে সিটিসেল। সিটিসেলের আবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৬ সেপ্টেম্বরের আগে অপারেটরটির কার্যক্রম বন্ধ না করতে বিটিআরসিকে আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের এ আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিটিআরসি। এ বিষয়ে গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়, দুই কিস্তিতে সিটিসেলকে বকেয়া ৪৭৭ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে সিটিসেলকে পরিশোধ করতে হতো ৩১৮ কোটি টাকা। কিন্তু ওই দিন সিটিসেল ১৪৪ কোটি টাকা বিটিআরসিতে জমা দেয়।
এ প্রসঙ্গে তারানা হালিম বলেন, গত বুধবারের মধ্যে সিটিসেলের বকেয়ার দুই-তৃতীয়াংশ ৩১৮ কোটি টাকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দিয়েছে মাত্র ১৩০ কোটি টাকা। তারা আদালতের আদেশ ভঙ্গ করেছে।
১৩০ কোটি জমা দেওয়ার পেছনে সিটিসেলের যুক্তি ছিল, লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহারের অনুমোদন থাকলেও তারা সারা দেশে ব্যবহার করতে পারে মাত্র ৬ দশমিক ৩ মেগাহার্টজ। আর শুধু ঢাকা অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ দশমিক ৫২ মেগাহার্টজ।
গ্রাহকদের বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিকল্প সেবা নিতে গ্রাহকদের দুই দফা সময় দেওয়া হয়েছে। এরপরও যারা অপারেটরটির সঙ্গে আছে তাদের বিষয়ে আসলে তেমন কিছু করার নেই।’
সিটিসেলে বর্তমানে ৫৫ ভাগ শেয়ারের মালিক বিএনপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকম। বাকি ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিংটেলের।
টেলিযোগাযোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার জ্যেষ্ঠ গবেষক আবু সাইদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে কারণে সিটিসেলকে বন্ধ করা হলো, সরকারি মালিকানাধীন টেলিটকও একই অপরাধে অপরাধী। এটি টেলিযোগাযোগ খাতের সুশাসনের পরিচায়ক নয়।’
সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন বারবার ভারতকে পরমাণু বোমার ভয় দেখাচ্ছে নওয়াজ শরিফ সরকার?
তাদের দেশের নিরাপত্তা সঙ্কটে পড়লে ভারতের উপরে পরমাণু বোমা ফেলতে দু’বার ভাববে না পাকিস্তান। গোটা বিশ্ব এবং
উপমহাদেশে কোণঠাসা হয়ে গিয়ে ফের পুরনো অস্ত্রেই ভারতকে ভয় দেখানো শুরু করল পাকিস্তান। এবার এই হুমকি দিয়েছেন
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা মহম্মদ আসিফ।
পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দাবি করেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রগুলি তাঁরা
নিজেদের দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বানিয়েছেন। তাই প্রয়োজনে পরমাণু বোমা ফেলে ভারতকে তাঁরা নাস্তানাবুদ করে
দেবেন বলেও হঁশিয়ারি দিয়েছেন এই পাক মন্ত্রী। কিছুদিন আগেও অবশ্য একই ধরনের হুমকি দিয়েছিলেন এই মন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও
সন্ত্রাসবাদীদের প্রশয় দেওয়ার জন্য গোটা বিশ্বে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ইসলামাবাদকে। ভারতের কৌশলে পাকিস্তান
থেকে বাতিল হয়ে গিয়েছে সার্ক সম্মেলন। তাই সেই পরমাণু বোমার জুজু দেখিয়ে পাক জনতার সামনে নিজেদের মুখ বাঁচানোর চেষ্টা
করছেন নওয়াজ শরিফের মন্ত্রীরা। শুধু তাই নয়, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করতেও তাঁরা তৈরি বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের
প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, উরি হামলার পরে যখন পাকিস্তানের হাতে ভারত একাধিক প্রমাণ তুলে দিয়েছে, সেইগুলি খতিয়ে দেখে
সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন বারবার ভারতকে পরমাণু বোমার ভয় দেখাচ্ছে নওয়াজ শরিফ সরকার? বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, আসলে পাকিস্তানের মন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রমাণ করে, তাঁরা কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। মঙ্গলবার আমেরিকার ডাকোটায়
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাশটন কার্টারও ভারতকে একটি
দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর দেশ বলে প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা চিন্তার বিষয় বলেই
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব। এর থেকেই বোঝা যায়, ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের হাতেই পারমাণবিক অস্ত্র
থাকলেও বারবার নিজেদের সেই শক্তিকে জাহির করে আসলে গোটা বিশ্বে নিজেদের ভাবমূর্তি খারাপ করছে ইসলামাবাদ।

নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর (লাইন অব কন্ট্রোল) ভারতীয় বাহিনী কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই পাকিস্তানি অবস্থানে গুলিবর্ষণ করেছে বলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে। আর ভারতীয় গুলিতে তাদের দুই সেনাসদস্য নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে।পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আইএসপিআর জানায়, ভারতীয় বাহিনী ভিমবার, হটস্প্রিং, কেল ও লিপা সেক্টরে গুলি চালিয়েছে। তবে পাকিস্তানি সৈন্যরাও সমুচিত জবাব দিয়েছে।পাকিস্তান বাহিনী জানায়, ভোররাত ২.৩০ থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত গুলিবর্ষণ চলে।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- উরি সেনা ঘাঁটিতে হামলার পর টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারত ও পাকিস্তান দুটি দেশেই।  তারই ধারাবাহিকতায় আজ (বৃহস্পতিবার) ডি ফ্যাক্টো সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের সাথে গোলাগুলি হয় পাকিস্তানি সেনাদের।।এ ঘটনায় ২ জন পাক সেনা নিহত হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ভিমবার, হট স্প্রিং, কেল ও লিপা সেক্টরে বৃহস্পতিবার ভোরে ৬ ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার ডি ফ্যাক্টো সীমান্তে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী গোলাবর্ষণ ঘটায়। দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেই এ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটল। বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরকে ভারত-পাকিস্তান উভয়ই নিজেদের ভূমি হিসেবে দাবি করে থাকে। এ নিয়েই চলে আসছে এ দু’দেশের সীমান্ত বিরোধ।সূত্র : দি নিউজ 
https://newsresent24.blogspot.com/. Powered by Blogger.

Blog Archive

SS Connections

Name

Email *

Message *

Featured Post

অনলাইন মিডিয়া জোন: পলাতক’ সাব্বির ‘হাতকড়া অবস্থায় ‘গোলাগুলিতে’ নিহত !...

অনলাইন মিডিয়া জোন: পলাতক’ সাব্বির ‘হাতকড়া অবস্থায় ‘গোলাগুলিতে’ নিহত !... : যশোর বাঘারপাড়া থানার এএসআই নিয়ামুল ভোর চারটা ৪০ মিনিটের দিকে সুবর...

Search This Blog

Update

রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনায় জঙ্গি আস্তানায় চূড়ান্ত অভিযানে সোয়াত।

Video

Popular Posts

Breaking News

স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ পানছড়িতে , ছাত্রলীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর । !

Slider Display